নিউজজি প্রতিবেদক ২ সেপ্টেম্বর , ২০১৯, ১৪:১৯:৩৮
আব্দুল আলীমের মৃত্যুবাষির্কীতে একই মঞ্চে তাঁর দুই পুত্র
বাংলাদেশের লোক গানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন শিল্পী আব্দুল আলীম। তিনি লোকসঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাল্যকাল থেকেই আব্দুল আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি।
আব্দুল আলীম অন্যের গাওয়া গান শুনে শুনে গান শিখতেন, আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন। এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান। দেশভাগের পর আবদুল আলীম ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে আব্দুল আলীমের গানের প্রথম রেকর্ড হয়।
রেকর্ডকৃত গান দুটি হল ‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’। বেতারে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরীর কাছে তিনি লোকসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে পারদর্শী হয়ে উঠেন।
১৯৩১ সালে ২৭ জুলাই ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণকারী এ শিল্পী ১৯৭৫ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পালিত হবে তাঁর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। আব্দুল আলীমের পিতা ছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং মাতা খাসা বিবি। ১৯৫৬ সালে আব্দুল আলীম বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এ, প্লেব্যাক করেন।
‘সুজন সখী’র প্লেব্যাকের জন্য ১৯৭৪ সালে সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯ ৭৭ সালে আব্দুল আলীমকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা দিবসে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করেন। আব্দুল আলীমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই ঐদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে নিজস্ব স্টুডিও থেকে সরাসরি প্রচার করবে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠান।
আব্দুল আলীমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ‘গানে গানে সকাল শুরু’ অনুষ্ঠানের এবারের পর্বে অংশ নিবেন গুণী এ শিল্পীর দুই পুত্র আজগর আলীম ও জহির আলীম। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানে তাঁর সন্তানরা তাদের বাবার গানের বিশাল ভাণ্ডার থেকে গান পরিবেশন করেন।
নিউজজি/এসএফ