নিউজজি ডেস্ক জানুয়ারী ১৯, ২০২১, ০০:৪৮:৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা : ‘ময়ূরকণ্ঠী রাতের নীলে’,‘তুমি ফিরায়ে দিয়েছ বলে’, ‘আমি এত যে তোমায় ভালোবেসেছি’ প্রভৃতি গানের কণ্ঠশিল্পী মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩০ সালের ১১ আগস্ট। আর মৃত্যু ১৯৯২-এর ১৯ জানুয়ারি। পিতার নাম অতুলচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। তাঁদের আদি বাড়ি ছিল বরিশালের উজিরপুরে। তাঁরা ছিলেন তিন ভাই এক বোন। মানবেন্দ্র সবার বড়। ১৯৫৫ সালের ৮ মে মানবেন্দ্রের সঙ্গে বেলা দেবীর বিয়ে হয়। তাঁর শেষ জীবন কেটেছে কলকাতার যাদবপুর এলাকায়।
রাগপ্রধান বাংলাগান এবং নজরুলসংগীতের জন্যই শুধু তিনি বাংলা সংগীত জগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাঙালি শ্রোতা তাঁকে মনে রাখবে বহু চলচ্চিত্রে তাঁর অনন্যসাধারণ সুর সৃষ্টির জন্যেও। ‘মায়ামৃগ’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘ক্ষতি কি না হয় আজ পড়বে মেটিরিয়া মেডিকার কাব্য’ কিংবা ‘জয় জয়ন্ত’ ছবির সেই অবিস্মরণীয় গান-‘খাব খাব করছে আমার পাগল মন’।
১৯৫৪ সালে সুধীরলাল চক্রবর্তীর সুরে ‘ঘুমায়ো না সহেলি গো আজি এই চাঁদ জাগা রাতে’ গানটা তাঁর কণ্ঠে শুনে বিয়ের আগেই তাঁর স্ত্রী বেলা দেবী ভাবলেন, ‘ইস ওর সঙ্গে যদি বিয়ে হতো।’ বেলা দেবীর বাড়িটা পেরিয়ে দুটো বাড়ি পরে ছিল মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের পৈত্রিক বাড়ি। অনুষ্ঠান সেরে রাত সাড়ে এগারোটা-বারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরতেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বেলা দেবী একবার জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় গান গাইতে গাইতে ও ফিরত। আমার ঘুমটা তখন ভেঙে যেত। আমি মাকে বলতাম, ‘মা, ও বাড়ি ফিরছে।’ মায়ের কাছে খুব সহজ ছিলাম। মা বলতেন, তুমি বারান্দায় যাবে তো যাও। বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতাম। ওর হাতে মালাটালা থাকলে ও সেটা ছুড়ে দিয়ে যেত।’
সেই ১৯৫৪ সালেই মানবেন্দ্র বেশ মজা করে অভিনয়ও করেছিলেন ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে। তাঁর সুরারোপিত উল্লেখযোগ্য ছবি- চাঁপা ডাঙার বৌ (১৯৫৪), মনি ও মানিক (১৯৫৪), সাঁঝের প্রদীপ (১৯৫৫), উত্তর পুরুষ (১৯৬৬), দেবী চৌধুরানী (১৯৭৪)।