নিউজজি ডেস্ক ১২ নভেম্বর , ২০২০, ১২:১০:৫১
ঘূর্ণিঝড় গোর্কির ৫০ বছরেও নিরাপদ আশ্রয় গড়ে ওঠেনি
ঢাকা : ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের এই দিনে দেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় জনপদ পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে। ৫০ বছর পরেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিরাপদ আশ্রয় গড়ে ওঠেনি। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন চর এলাকার মানুষ।
১২ নভেম্বরের রাতে গোর্কির ছোবলে লন্ড-ভণ্ড হয় ভোলার বিস্তীর্ণ এলাকা। জেলার মনপুরা, চর নিজাম, ঢালচর ও চর কুকরি-মুকরিসহ গোটা এলাকা পরিণত হয়েছিলো মৃত্যুপুরীতে। প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে কত মানুষের প্রাণ গেছে তার সঠিক হিসাব জানা না গেলেও স্থানীয়দের মতে মৃতের সংখ্যা এক লাখের বেশি।
স্মরণকালের ভয়াবহতম এই দুর্যোগে লণ্ডভণ্ড হয় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের চরাঞ্চল। মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যায় হাজার হাজার মানুষ, গবাদি-পশু, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
দুর্যোগ মোকাবেলায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হলেও এখনো দুর্গম চরাঞ্চলে প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় জলোচ্ছ্বাস আতঙ্কে দিনকাটে মানুষের।
জনসংখ্যার তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা অনেক কম বলে স্বীকার করেন নোয়াখালীর ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক শরাফৎ হোসেন খান। হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জে ২৯১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০ জন।