নিউজজি ডেস্ক জানুয়ারী ২৪, ২০২১, ১৯:১৭:৪১
ছবি: ইন্টারনেট
ঢাকা: যে খাবারগুলোর কথা ভাবলেই জিভে জল চলে আসে, মনে পড়ে যায় স্কুল বা কলেজের কথা, সেই টক, মিষ্টি, নোনতা ও ঝাল স্বাদের খাবারগুলো হলো ফুচকা। এই খাবারগুলো খেতে অনেকেই ভালোবাসেন।
প্রোটিন বহুল এই খাবারে ক্যালোরি, চর্বি, কিছু ভিটামিন ও সোডিয়াম থাকে। তবে মজার এই খাবার বেশি খাওয়া শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। বিশেষ করে, কিডনি ও লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া অতিরিক্ত চটপটি বা ফুচকা খেলে রক্তের কোলেষ্টেরল, ইউরিক এসিডের মাত্রা এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকের পেটে গ্যাস বা এসিডিটির একটি কারণ হলো অতিরিক্ত চটপটি বা ফুচকা খাওয়া। তবে এত মজার খাবার একেবারে না খেলে হবে? যদি শোনেন ফুচকা খাওয়া যাবে আবার ওজন বাড়বে না, তাহলে কেমন হয়? অবিশ্বাস্য হলেও এটি সম্ভব। ডায়েটে থেকেও ফুচকা খেতে পারেন। তাই কীভাবে খাবেন, তার জন্য দিচ্ছি কিছু পরামর্শ।
১. ফুচকা ময়দার হয় আবার সুজিরও হয়। ডায়েট মেনে খেতে চাইলে ময়দার ফুচকা খান। সুজির ফুচকা এড়িয়ে চলুন।
২. ফুচকা মধ্যে আলুর পুর ভরা থাকে। তাই আলু বাদ দিয়ে শুধু ছোলা বা মটরের পুরে ভরা ফুচকা খান। এতে ক্যালোরি কিছুটা কমাতে পারবেন।
৩. ফুচকায় যেহেতু লবণের পরিমাণ বেশি, তাই লবণ কমিয়ে খান।
৪. ফুচকার টক খেলে শরীর আর্দ্রতা হারায়। এজন্য ফুচকা খেলে বেশি করে পানি খাবেন।
৫. মিষ্টি টক বা চাটনি খাওয়া যাবে না ফুচকার সঙ্গে।
৬. অল্প পরিমাণ ফুচকা প্লেটে নিন। অনেকবার চিবিয়ে খেলে অল্পেই পেট ভরে যাবে।
৭. ফুচকা সাধারণত বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই বেশি খাওয়া হয়। তাই খেতে চাইলে দুপুরে খান।
৮. ওজন কমাতে চাইলে সূর্যাস্তের পর কোনো খাবার খাওয়ার আগে বিবেচনা করে খান।
৯. খালি পেটে চটপটি বা ফুচকা খাওয়া ঠিক নয়। অনেকে স্কুল বা কলেজে না খেয়ে বের হয় এবং টিফিন বিরতিতে চটপটি বা ফুচকা খায়। অভ্যাসটি খুবই অস্বাস্থ্যকর।
১০. চটপটিতে অনেক সোডিয়াম থাকে, তাই এর সঙ্গে আলাদা লবণ বা বিট লবণ কোনোভাবেই খাবেন না।
১১. তেঁতুলের কেনা সস দিয়ে টকপানি না বানিয়ে, এর পরিবর্তে ফ্রেশ তেঁতুলে ফুটানো পানি ও ঘরের মশলা দিয়ে ঘরের তৈরি তেঁতুল পানি বানানো স্বাস্থ্যকর। বাইরের বেশির ভাগ দোকানে কেনা বোতলজাত সস থেকে তেঁতুল পানি বানায়। আর পানি ফুটানো না হলে সেটি অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে। তাই বাইরের তেঁতুল পানি এড়িয়ে চলা ভালো।
১২. ফুচকা বা চটপটি খাওয়ার আগে সম্ভব হলে বিস্কুট বা পাকা নরম কোনো ফল খেয়ে পেট ভরে ফেলুন, তাতে এগুলো কম খাওয়া হবে।
১৩. পুষ্টির বিচারে এটি একটি মিল (সবধষ) তাই দুপুরবেলা লাঞ্চ হিসেবে মাসে একদিন খেতে পারেন। তাতে মনের স্বাদ একটু মিটবে।
ওপরের পরামর্শগুলো মতো খাওয়া হলে ক্ষতি হয়তো কিছুটা কমবে। তবে মনে রাখবেন এই পরামর্শ প্রতিদিনের জন্য নয়। মাসে দুই একবার এমন করা যেতে পারে।
নিউজজি/আইএইচ