ক্রীড়া ডেস্ক ১ জুলাই , ২০১৯, ১৩:১৪:৩৭
ছবি: ইন্টারনেট
টানা ৫ জয়ের পর রোববার ইংল্যান্ডের কাছে হারল ভারত। এজন্য অবশ্য দলটির ধীর লয়ের ব্যাটিংকে দায়ী করছেন দেশটির ভক্ত থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা। ঠিক সে সময়ে মুখ খুললেন বিরাট কোহলি। নিজেদের হারের জন্য তিনি কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছেন এজবাস্টনের উইকেট।
জিততে গতকাল ভারতের দরকার ছিল ৩৩৮ রান। কিন্তু এ জন্য যেমন মারকাটারি ব্যাটিং করা লাগে, তার ধার কাছ দিয়েও যেতে পারেননি দলটির ক্রিকেটাররা। কিন্তু কোহলির মতে, রান তাড়া না করতে পারার দোষ এজবাস্টনের উইকেটের।
বড় রান তাড়ায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে ধরণের ব্যাটিং করা দরকার সেটা পারেনি ভারত। দলটির ইনিংসে একমাত্র ছক্কা এসেছে একবারে শেষ ওভারে, যেখানে ইংল্যান্ড ছক্কা হাঁকিয়েছিল ১৩টি।
৪৫ ওভারের পর কেদার যাদব-মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩১ বলে তুলেন মাত্র ৩৯ রান, বিশবার সিঙ্গেল নিয়েছেন, ডট বল দিয়েছেন এক ওভারেরও বেশি। তারা চার মারেন একটি। তবে ম্যাচ শেষে কোহলি সব দোষ দিলেন এজবাস্টনের উইকেটের, ‘ম্যাচের শেষদিকে কীভাবে ব্যাট করতে হবে, এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মূলত যারা ওই মুহূর্তে উইকেটে থাকে, তারা। আমার মনে হয় এমএস (ধোনি) অনেক চেষ্টা করছিল চার মারতে। কিন্তু ওদের বোলাররা প্রত্যেকটা বল ভালো জায়গায় করছিল।’
চার-ছয় হাঁকানোর জন্য যে ধরণের পিচ থাকে রোববার তেমনটা ছিল না, ‘বল ব্যাটে থেমে থেমে আসছিল, শেষ দিকে উইকেট ধীর গতির হয়ে গিয়েছিল। তাই তখন ব্যাট করা বেশ কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল। আমাদের এসব বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে ও পরবর্তী ম্যাচের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে।’
ভারতের ধীর লয়ের ব্যাটিংয়ে কেউ খুশি হোক বা না হোক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগানের কিন্তু ব্যাপারটি বেশ লেগেছে, ‘ভারত কীভাবে ব্যাটিং করেছে এ নিয়ে আমি একদম চিন্তিত ছিলাম না। ওদের রান তোলার গতি দেখে বেশ খুশিই হয়েছি আমি। ওদের পরিকল্পনা ছিল ধীরে ব্যাটিং করার। কিন্তু এটাও মানতে হবে, আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত বল করেছে।’
রোববারের জয়ে চলতি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে জায়গা পাওয়া আবার উজ্জ্বল হয়েছে ইংল্যান্ডের। এজন্য নিজেদের শেষ ম্যাচে দলটির হারাতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। এ দৌড়ে ভারত অবশ্য অনেক এগিয়ে। তাদের পরের দুই ম্যাচ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। যে কোন একটিতে জিততে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এ টুর্নামেন্টের শেষ চারে ওঠা নিশ্চিত করবে। তাই গতকালের হার নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন কোহলি।
নিউজজি/সিআর