এক বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েও জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি সাকিবের। ক্রিকেটে ফেরা সাকিবকে ড্রাফটে পেয়ে বড় ব্রান্ডিংটা করেছে জেমকন খুলনা। তবে মাঠের বাইরে এক বছর কাটিয়ে ব্যাট-বল দু'টোতেই পড়েছে মরিচা। বঙ্গবন্ধু কাপ টি-২০'তে নিজের প্রথম ২ ম্যাচে চেনা সাকিবকে যায়নি দেখা।
বরিশালের বিপক্ষে বোলিংটা ভালই করেছিলেন (৩-০-১৮-১)। কিন্তু ব্যাটিংয়ে করেছেন হতাশ। ৯ বলে ১২ রানে থেমেছেন সাকিব সুমন খানের শর্টপিচ বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে। রাজশাহীর বিপক্ষে কাটিয়েছেন উইকেটহীন (৪-০-২৭-০)।
তাকে এক ওভারে আশরাফুল স্কোয়ার ড্রাইভে ২টি বাউন্ডারি মেরেছেন। সেই ম্যাচে তরুন পেসার মুগ্ধকে পুল করতে যেয়ে সেই একই পজিশনে দিয়েছেন ক্যাচ ১৫ রানের মাথায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসানের প্রত্যাবর্তনটা হয়নি প্রত্যাশিত পারফরমেন্সে। জেমকন খুলনা রাজশাহীর কাছে হেরেছে,তার অন্যতম কারণ হিসেবে এই তারকার অফ ফর্মটা একটা কারণ।
তবে জেমকন খুলনা কোচ মিজানুর রহমান বাবুল সাকিবের উপর রাখছেন আস্থা।শনিবার চট্টগ্রামের বিপক্ষে সাকিব ফিরবেন স্বরূপে,এমনটাই প্রত্যাশা তার-'সাকিব আল হাসান দেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। সাকিব অবশ্যই ফিরে আসবে। দুইটা ম্যাচ মাত্র গেলো। অনেক দিন ও খেলার মধ্যে ছিল না। আমার মনে হয় আর একটু বেশি সময় নিবে। পরের ম্যাচ থেকেই সাকিবের রূপ দেখতে পারবো আশা করি।'
শুধু সাকিবই একা নন। গত ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ,ইমরুল কায়েস, বিজয়,কেউ প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি। তারকা দলের লেবেল যখন আছে,তখন তারকারা স্কিল শো করবে বলে ভরসা রাখছেন খুলনা কোচ- 'শুধু রিয়াদ বা সাকিব না কিন্তু। ইমরুল কায়েসের নামের পেছনেও অনেকগুলো ওয়ানডে,টি-টোয়েন্টি আছে, বিজয় অনেক অভিজ্ঞ। জাতীয় দলে খেলতেছে অনেক দিন। আপনি যদি নিচে যান, আরিফ অনেক অভিজ্ঞ। বাংলাদেশে হয়তো টি-টোয়েন্টি ওই রকম খেলে নাই। তবে ন্যাশনাল টিমে ছিল। শামীম পাটোয়ারি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে এসেছে। সে তার স্কিল শো করেছে। টিমের কম্বিনেশন যদি চিন্তা করেন। অনভিজ্ঞ না, দুই তিনজন অভিজ্ঞ অন্যরা তেমন না। বোলিং সাইড, সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। এই দলের বোলাররা। কিন্তু স্কিলটা দেখাতে পারছে না। প্রথম দুইটা ম্যাচ গেছে। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোতে সবাই সবার স্কিল শো করবে।'
কাগজে কলমে সেরা বলে আত্মতুষ্টির কিছু নেই বলে মনে করছেন বাবুল-'আসলে কাগজে-কলমে খেলা হয় না। হয়তো কাগজে-কলমে আমরা ভালো দল তৈরি করেছি। আমাদের দল অভিজ্ঞ বড় বড় নাম আছে।তবে মাঠে যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। এটাই দুইটা খেলায় প্রমানিত হয়েছে।'
পর পর ২ ম্যাচে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-টা ভুগিয়েছে। এখানেই চিত্রটা বদলাতে চান বাবুল-' আমাদের দুইটা ম্যাচেই প্রথম ৩৬ রানে ৪ উইকেট গেছে। শেষ ম্যাচেও তিন উইকেট গেছে। এই জায়গাটায় যদি আমরা ওভার কাম করতে পারি। প্রথম ছয় ওভার। দেখবো যে আমাদের রান আল্টিমেটলি ৮০-৯০ রান হবে ।প্রথম পাওয়ার প্লেটা আমাদের খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এই জায়গাটায় উন্নতি করতে পারলে। আমাদের রানটা দুইশর কাছাকাছি হবে আর কী।'