স্পোর্টস রিপোর্টার নভেম্বর ২৮, ২০২০, ১৭:৩০:১১
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন।ছবি-ইন্টারনেট
গত ১৫ এবং ১৬ মার্চ এক রাউন্ড সম্পন্ন করেই করোনা সংক্রমনের শংকায় স্থগিত করা হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। করোনা কালে জৈব সুরক্ষায় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ সম্পন্ন করেছে বিসিবি।
এখন জৈব সুরক্ষায় চলছে ৫ দলের বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ। তবে এখনও স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) মাঠে আয়োজনে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি সিসিডিএম-এর।
১২টি ক্লাবকে জৈব সুরক্ষায় কিভাবে রেখে লিগের অবশিস্ট রাউন্ডগুলো আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে মহা বিপাকে বিসিবি এবং সিসিডিএম।
আগামী জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বাংলাদেশে পূর্নাঙ্গ সিরিজ থাকায় সে সময়ে ডিপিএল মাঠে গড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজি এনাম আহমেদ-'জানুযারীতে হবে কি হবে না সেটা আমি এখনি বলতে পারব না কারন জননুয়ারীতে কিন্তু আমাদের একটি ইন্টারন্যাশনাল সিরিজও আছে। এখানে বিসিবিরও ব্যাপার আছে কতটা আমরা ম্যানেজ করতে পারি। এ বিষয়ে আমাদের আলাপ চলছে যত শীঘ্রই সম্ভব আমরা চেস্টা করব।'
২০১৯-২০ মওশুমের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ সেই মওশুমে সম্পন্ন করতে পারেনি সিসিডিএম। ২০২০-২১ মওশুম ইতোমধ্যে শুরু হলেও সেই স্থগিত থাকা লিগ আয়োজনে উদ্যোগ নিতে পারেনি তারা। এপ্রিল পেরিয়ে গেলে শেষ হয়ে যাবে ২০২০-২১ ক্রিকেট মওশুম। তাহলে কি টানা ২টি মওশুম ডিপিএল থাকবে স্থগিত ?
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্রিকেটারের রুটি রুজির প্রধান মাধ্যম ডিপিএল এই মওশুমেই সম্পন্ন করতে চান সিসিডিএম চেয়ারম্যান-'এই সিজনের মধ্যেই কিন্তু আমাদের লিগটা শেষ করতে হবে। আমরা চেস্টা করছিলাম দুর্ভাগ্যবশত আমরা চিন্তা করছিলাম গত সিজিনেরটা আরো আগে করা যায় নাকি। নেক্সট ফিউ মান্থস এটা নিয়ে আমরা আবার আলোচনা করব এবং ক্লাবও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।'
প্রয়োজনে লিগ জট কাটাতে ৮ মাসের ব্যবধানে ২টি ডিপিএল আয়োজনও ভাবনায় আছে বলে জানিয়েছেন তিনি-'যদি একবছরেও দরকার হয় বা আট মাসেও দরকার হয় এর ব্যবধানে যদি দুইটা সিঙ্গেল লিগও করা যায় সেরকম বিবেচনাও কিন্তু আমরা করতে পারি যাতে খেলার মোট সংখ্যা হয়ত কমে যেতে পারে। তবে আমাদের প্লেয়ারদের বিষয়টা দেখতে হবে ক্লবাদের বিষয়টাও দেখতে হবে।যেহেতু গত মৌসুমের একটা ম্যাচ হয়েছে সেটাকেই কন্টিনিউ করে আগে শেষ করা। সেটাই আসাদের মেইন উদ্দেশ্য থাকবে।'
সম্প্রতি ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সাথে ৩ কোটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি বেক্সিমকো ফার্মার সাথে করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়। এই ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে এখন সিসিডিএম চেয়ারম্যান। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিপিএলের সব ক্রিকেটার,অফিসিয়াল এবং সংশ্লিস্টদের ভ্যাকসিন দিয়ে স্থগিত থাকা ডিপিএলের অবশিষ্ট ম্যাচগুলো সম্পন্ন করাকেই উত্তম বলে মনে করছেন তিনি-'বাংলাদেশের সরকার বলছে একটি ভ্যাকসিন অতি দ্রুত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেস্টা করব সকল প্লেয়ারকে ভ্যাক্সিনেট করে এবং তার সাথে যারা ইনভলব আছে সবাইকে ভ্যাক্সিনেট করে খেলাটাকে পরিচালনা করতে পারি কিনা।'
তাহলে তো এখন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে সিসিডিএমকে। স্থগিত থাকা লিগ মাঠে গড়ানোর নিদ্দিস্ট দিন-ক্ষন জানাতে পারছেন না এ কারণেই।