স্পোর্টস রিপোর্টার মার্চ ৬, ২০২১, ১৮:৪১:৩০
নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ছবি-বিসিবি
গত নভেম্বর থেকে জৈব সুরক্ষায় ২টি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এবং একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। জৈব সুরক্ষায় একবার ঢুকে সিরিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এক প্রকার বন্দি জীবনই কেটেছে ক্রিকেটারদের।
হোটেল রুম এবং মাঠ-এর বাইরে বেরুনোর কোন সুযোগ পায়নি ক্রিকেটাররা। তবে নিউজিল্যান্ডে সফরকারী দলের জন্য নেই জৈব সুরক্ষা মধ্যে থাকার শর্ত।
নিউজিল্যান্ডে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন পেরুনোর পর মুক্ত ভাবে ঘোরা-ফেরা করতে পারবে বাংলাদেশ দল। বিশ্বের অন্যতম ভূ-স্বর্গে এসে সেই দেশের প্রকৃতি দেখতে না পারলে আক্ষেপই থেকে যেতো।
করোনাকালে সেই আক্ষেপটা করতে হচ্ছে না বাংলাদেশ দলকে। নিউজিল্যান্ডে ১৪ দিন কাটানোর পর সেখানকার মুক্ত বাতাস নিতে পারবে ক্রিকেটাররা। ঘুরতে পারবে স্বাধীনভাবে। এটাই শুনেই দারুণ এক অনুভুতি ক্রিকেটারদের।
ক্রিকেটারদের মনের সেই কথাই বলেছেন দলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হাবিবুল বাশার সুমন-'যখনই যে সিরিজ খেলি মোর দ্যান ওয়ান মান্থ আমাদের বাবলের মধ্যে থাকেত হচ্ছে। এই সময়টা কিন্তু আমরা কোথাও যেতেও পারি না ফ্যামিরলির কেউ আসতে পারে না। তো সেটা বরং কঠিন। এখানে অনেক বড় একটা সুবিধা এই ১৪ দিন পরেই কিন্তু আমরা মুক্ত। স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে পারব যে কোন জায়গায় যেতে পারব এবং খেলার বাইরে সময়টা খুব ভালো ভাবে ইনজয় করতে পারবো। এটা কিন্তু এক দিকে ভালো যে আপনি ১৪ দিন কষ্ট করছেন তারপর কিন্তু আপনাকে আর বাবলের মধ্যে থাকতে হচ্ছে না। এবং ছেলেরা এটা সবাই রিয়ালাইজ করছে। এবং সবাই এটাকে খুব পজিটিভলি নিয়েছে।'
নিউজিল্যান্ডে পা রেখে প্রথম ক'দিন খুব কঠিন ছিল। আস্তে আস্তে বদলে গেছে পরিবেশ। তা মনে করছেন হাবিবুল বাশার- প্রথম কয়েকদিন টাফ ছিল। প্রথম দুই তিন দিন আমাদের বুঝতে সময় লেগেছে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা সবার জন্যই বেশ কটিন ছিল। তারপরে চার পাচ দিন পরে তো আমরা বাইরে বের হতে পারছিলাম সবার সাথে একটু হলেও দেখা হচ্ছিল। এখন প্রাকটিসের সুযোগ পাচ্ছি। '